জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল গুলোর মধ্যে জাম অন্যতম আমের নাম নিলে তার সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে জামের নামটিও এই জাম কিন্তু অনেক পুষ্টিগুণে ভরা টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগেরই জানা নেই জাম খেলে শরীরে অনেক ধরনের উপকারিতা মিলে চলুন জেনে নেয়া যাক জাম খাওয়ার সাতটি উপকারিতা সম্পর্কে

হজমে সাহায্য করে

জাম খেলে হজমের সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করে উচ্চ ফাইবার ও পানি থাকার ফলে জাম হজমের উন্নতি এবং অস্ত্র গতিবিধি নিয়ন্তন্ন করতে সাহায্য করে এটি পেট ফাঁপার হওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে তবে এই ফল অতুলনীয় প্রকৃত হওয়ার কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে

মুখের স্বাস্থ্যর উন্নতি করে

জাম খেলে মাড়ির রক্তক্ষরণ এবং মাড়ি প্রদাহের চিকিৎসার সাহায্য করে এই রস মাউথওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করা যায় জামের পাতায় এন্টি ক্যাটোরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে

ভিটামিন সি ছাড়াও জামে প্রদাহরোধী এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এটি হাঁপানি এই ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য এই ফল বেশি উপকারী 

রক্তের জন্য ভালো

জাম রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে যারা আয়রনের ঘাটতি ও হিমোগ্লোবিন ভুগছেন তাদের খাদ্য তালিকায় বেশি করে জাম যোগ করা উচিত এর ভিটামিন সি এবং আয়রন রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং টনিক থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে দাম পটাশিয়াম সীমান্ত যা রক্তচাপে পরিচালনা করতে এবং হাটকে সুস্থ উন্নত করতে সাহায্য করে 

ওজন কমাতে সাহায্য করে

জামে ফাইবার বেশি ক্যালরি কম থাকে এটি তৃপ্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং এই ভাবে আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় আপনাকে সাহায্য করতে পারে এটি মুখরোচক স্বাস্থ্যকর যা আপনার ক্ষুদা নিবারণ করবে এবং ক্ষুদা কমিয়ে রাখবে 

ত্বকের জন্য ভালো 

জামে ভিটামিন এ বি সি এর পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে জাতকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাম খাওয়ার ফলে ক্লোজেন উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে যা ত্বককে আরো কোমল করে তোলে তাই আপনি যদি তরুণ উজ্জ্বলতা চান তবে আপনার এই ফল বেশি বেশি করে খাওয়া শুরু করুন

ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য উপকারী

টাইপ টু ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্টি বিভিন্ন যেমন বারবার প্রসাব এবং গলা শুকিয়ে আসা মতো ডায়াবেটিক্স মোকাবেলা করতে সাহায্য করে জাম এই ফল শূচক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার হিসেবে বিবেচিত হয়