ঢেঁড়স এর উপকারিতা ও অপকারিতা

   

আমরা সবাই জানি ঢেঁড়স এই সুস্বাদু ফলটি আমরা আমাদের দেশে কিংবা গ্রামীণ অঞ্চলে এক নামে পরিচিত ।  ঢেঁড়স টির শীতকালে এর স্বাদ আলাদা।  তবে এই ফলটি শুধু সুস্বাদু নয়, এটিতে রয়েছে  

অসাধারণ পুষ্টিগুণ । ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন সি ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলসহ নানা ধরনের উপকা উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই কন্টাক্ট থেকে আমি আপনাদের ঢেঁড়স খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। এবং এর পাশাপাশি ঢেঁড়স খাওয়ার কিছু ।অপকারিতাও রয়েছে কিনা তাই নিয়ে আলোচনা করা হবে। আসুন এবার জেনে নেয়া যাক ঢেঁড়সের রহস্যময় জগতের কথা।

পেজ সূচিপএ :  ঢেঁড়স এর  উপকারিতা ও অপকারিতা 


এই সবজি ঢেঁড়সটিতে  রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি  যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকেন । 

তাছাড়, এই সবজিতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আমাদের শরীরের কোষ গুলোকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে থাকে। মুক্ত রেডিকেলগুলো হলো অস্থির পরমাণু না আমাদের দেহের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। 

2.ওজন কমাই 

 যা ওজন কমানোর যাত্রায় আমাদের পাশে থাকতে পারে।ঢেঁড়স সবজিটি শুধু আমাদের ওজন কমানোর জন্যই নয় বরং এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টির গুণ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সে কেলোরির পরিমাণ খুবই কম । অর্থাৎ অনেক পরিমান ঢেঁড়স খেলে খুব কম পরিমাণ

 ক্যালরি গ্রহণ করবেন। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে । এই ফাইবার আমাদের পেট ধরে রাখতে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা লাগতে দেয় না। এর কারণে আমরা অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকি । ঢেঁড়স সবজিতে প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে। এটি শরীরকে হাইড্রাইড রাখে। 

3. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

 ঢেঁড়স এ থাকা বিশেষ ধরনের ফাইবার রক্তের শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি খাবার পর রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে হিুতিশীল  রাখে । ঢেঁড়স শরীরের ইনসুলিন

 সংবেদনাশীল বাড়াতে সাহায্য করে। ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যার রক্তের শর্করাকে কোষে প্রসব করতে সাহায্য করে। ঢেড়স ইন সুনীল কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রক্তের শর্করার  মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

৪. হার্ডকে  ভালো রাখতে সাহায্য করে  

ঢেঁড়স সবজি শুধু সুস্বাদু নয় এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াইও একটি শক্তিশালী অস্ত্র। দেশের থাকা বিশেষ ধরনের ফাইবার এবং অন্য পুষ্টিগুণ মিলে হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের( এল ডি এল)

 শরীরে থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে। খারাপ কলেস্ট্রল ধমনীতে জমে রক্তনালী সংক্রমণ এর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ঢেঁড়সের ভালো কোলেস্টেরল(এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। ভালো কোলেস্ট্রল ধমনী থেকে খারাপ কোলেস্টেরল

 বের করে নিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।ঢেঁড়সএ থাকা  পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ একটি হৃদরোগের প্রধান কারণ। 

৫. ত্বক ও চেহারা কে ভালো রাখে

ঢেঁড়স সবজিটি ত্বকের জন্য ভালো উপকারী। দেশে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।ঢেঁড়স এ  থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিগুণ ত্বকে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থকে দূর করে থাকে। বিষাক্ত পদার্থগুলো ব্রণ বয়সের দাগ ও অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে। ঢেঁড়স এ  থাকা

 ভিটামিন সি ত্বকের কস গঠন করতে সাহায্য করে থাকে। এটা ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বয়সের চাপ কমাতে সাহায্য করে । ঢেঁড়সের এন্টি ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টি ইনফরমালটনি বিশেষ বরণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এটি ত্বকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করে থাকে। 

৬. শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়

ঢেরস আমাদের  শ্বাস তন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দেশে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টির গুণ আমাদের শ্বাসকষ্টের মত সমস্যাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ঢেঁড়স সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি আমাদের সকলের শরীরের

 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে। ঢেঁড়সে থাকা এন্ট্রি ইমপ্লোমাটি উপাদান শ্বাসনালীর প্রধাও কমাতে সাহায্য করে। শ্বাসনালের প্রদাহ অ্যজমা এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এটি প্রধান কারণ। 

৭. চুলকে ভালো রাখে

এই শক্তিটি চুলকে করা থেকে শক্ত করে । যার ফলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। ঢেড়সে থাকা পুষ্টির গুণ চুলের চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহ করে । ঢেরস ব্যবহারে চুল উষ্ণ হয়ে যাওয়া রোধ করে। এবং চুলকে চকচকে করে তোলে।

 ঢেঁড়সের এন্টিফাঙ্গা বৈশিষ্ট্য খুশকি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে । ঢেঁড়স চুলের রং স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । চুলে দুমুখী হয়ে যাওয়া চুলের ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে ঢেঁড়স ব্যবহারে উপকারী। ঢেঁড়স চুলের তালুকে পুষ্টি যোগায় এবং তালুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শক্ত করে তোলে। 

ঢেঁড়সের অপকারিতা

১) এলার্জি

আমাদের খুব কম মানুষের ক্ষেত্রে ঢেঁড়স এর  এলার্জি থাকতে পারে। এতে ত্বক ফুলে যাওয়া চুলকানি শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। 

২) পেটের সমস্যা

অতিরিক্ত পরিমাণে ধারস খেলে পেট ফাঁপা গ্যাস কন্ঠ কাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। 

৩) অক্সিলেটের মাত্রাবৃত্তি ৎ

এই সবজি  অক্সিলেন নামে একটি যোগ থাকে যা কিডনিতে পাথর জমাতে ঝুঁকি পারতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঢেঁড়স খাওয়া উচিত নয় । 

উপসংহার 

আশা করছি আজকের এই কন্ঠের থেকে আপনারা ঢেঁড়স এর   উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন  । ঢেঁড়স আমাদের রান্নাঘরের একটি পরিচিতি সবজি । এটিতে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন খনিজ এবং এন্টিভেট যা

 আমাদের সবার শরীরের অত্যন্ত উপকারী। ঢেরস নামে তো খেলে হজম শক্তি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চুল ও ত্বককে সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । তবে সবকিছুর মতো ঢেঁড়স  কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অতিরিক্ত 

পরিমাণে ঢেঁড়স খাওয়া কিডনির সমস্যা থাকলে এতে কিছু পোষা প্রক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।   সুষম খাদ্য গহনে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনী সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। কনটেকটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ। 


                       

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url